লালমনিরহাটে পুশইন সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুর ১২টায় লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)তে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)র আয়োজনে এ ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মেহেদী ইমাম পিএসসিসহ বিজিবির অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও লালমনিরহাটের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সদস্যরা সর্বমোট ৬৮জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে।
চলতি বছরের মে মাসে ৪৮জন, জুন মাসে ১০জন এবং জুলাই মাসে ১০জনকে নিয়ে মোট ৬৮জনকে পুশইন করা হয়। এদের মধ্যে ৩০জন বাংলাদেশী নাগরিক এবং ৩৮জন ভারতীয় নাগরিক। পুশইন পরবর্তী সময়ে আটক ৩০জন বাংলাদেশী নাগরিককে নিকটতম থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাদেরকে বাংলাদেশী আত্মীয়-স্বজনদের কাছে জিডি ও মুচলেকায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অন্যদিকে পুশইনের জন্য সীমান্ত এলাকায় জরো করা ৩৮জন বাংলাভাষি বিভিন্ন বয়সের নারী, পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশে প্রবেশে প্রতিহত করার পর বিএসএফ তাদের সবাইকে রাতের আধারে ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে।
বিএসএফ সাধারণত ভোর ৪টার দিকে সীমান্ত এলাকা দিয়ে জরোকরা মানুষগুলোকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয়/ পুশইন করে। যাদেরকে পুশইন করতে পারেনি ভারতীয় নাগরিক প্রমাণ হওয়ায়, তাদেরকে ফিরিয়ে নিতে সন্ধ্যায় সীমান্ত এলাকায় তাদের ফ্লাশ লাইট বন্ধ করে অন্ধকারে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে, এমনটাই দেখা গেছে।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার বনচোকি সীমান্ত দিয়ে পুশইন করতে ব্যর্থ হওয়ার পর ফিরিয়ে নেওয়া ২জন বয়স্ক ভারতীয় নারী তাদের ঠিকানায় পৌঁছাতে পারেনি বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়।
লালমনিরহাট সীমান্ত দিয়ে পুশইন করতে চেষ্টা করা মানুষেরা বাংলাভাষি মুসলিম যারা ভারতের হরিয়ানা ও আসাম প্রদেশের বলে জানা যায়।
পুশইন নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের পতাকা বৈঠক, পরিচয় শনাক্ত করণ কার্যক্রম, সীমান্ত এলাকায় পুশইন করতে জরো করা মানুষের ছবি ও ভিডিও চিত্র উপস্থাপন করা হয়।
পুশইন প্রতিহত করতে সীমান্ত এলাকার মানুষের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য মিডিয়ার মাধ্যমে সঠিক তথ্য উপস্থাপনের জন্য মিডিয়ার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।